Wednesday, January 20, 2010

Tuesday, January 12, 2010

An Entrapment

My love, I have tried with all my being
to grasp a form comparable to thine own,
but nothing seems worthy;

I know now why Shakespeare could not
compare his love to a summer’s day.
It would be a crime to denounce the beauty
of such a creature as thee,
to simply cast away the precision
God had placed in forging you.

Each facet of your being
whether it physical or spiritual
is an ensnarement
from which there is no release.
But I do not wish release.
I wish to stay entrapped forever.
With you for all eternity.
Our hearts, always as one.
Special World

A special world for you and me
A special bond one cannot see
It wraps us up in its cocoon
And holds us fiercely in its womb.

Its fingers spread like fine spun gold
Gently nestling us to the fold
Like silken thread it holds us fast
Bonds like this are meant to last.

And though at times a thread may break
A new one forms in its wake
To bind us closer and keep us strong
In a special world, where we belong.

Tuesday, December 8, 2009

Set a place for me in your heart and not in your mind for the mind easily forgets but the heart always remembers. I love you. Muacks


You are the twinkle of my eyes;
The smile on my lips;
The joy of my face;
Without you I am incomplete.
Contributed by Vibhul Bansal


Last night I matched each star with a reason for loving you. I was doing great until I ran out of stars.


God is wise when he did not put a price tag on you darling. If he did, I won’t be able to afford to have a boyfriend (girlfriend) as precious as you.
Darling, if you are the second best girl for me, then who is the best? The answer is nobody, because you will always be the best girl for me.
My heart for you will never break. My smile for you will never fade. My love for you will never end. I love you!
When you need someone to be there for you, I’d be just sitting right beside you.


You know I wish I can be with you everyday for 8 days a week and 25 hrs a day. I never seem to get enough of you.


I just wanted you to know how very much I care, and that you are always in my thoughts even when I can’t be there. As you can see, you mean so much to me!
The only regret I have is not knowing you since the day I was born - so that I will be able to spend my ENTIRE life with you.
All day long, I hear people talking out loud. But when you talk to me, your sweet voice drowns out the crowd! I miss you.

Tuesday, November 17, 2009

সোয়াইন ফ্লু : আতঙ্ক নয়
মুখোশ পরে আছে সবাই। কাউকে চেনা যাচ্ছেনা। সবাই স্তব্ধ । ক্লাস হবে ১০টা ২০ মিনিটে। এখন ১০.১৫। ক্লাসে যাওয়ার মন মানসিকতা নেই। কারণ সবাই যেন ভেঙ্গে পড়েছে। কী এক আতঙ্ক বিরাজ করছে সবার মাঝে। ছুটির জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ করছে কেউ কেউ…. সবার মনে গেল গেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের অনার্সের ছাত্রী মৌসুমী রাজ্জাক রনি’র সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংবাদে সহপাঠিদের প্রতিক্রিয়া এটি। এ আতঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই গোটা ঢাকার শহরে। যে মাস্ক আগের দিন সবাই কিনেছে ৫ টাকা দিয়ে সেটি পরের দিনই ১৫ টাকা। এক হুলস্থুল কাণ্ড। সে সোয়াইন ফ্লু নিয়েই আমাদের এ আয়োজন।
সোয়াইন ফ্লু কী
ইংরেজি সোয়াইন (SWINE) শব্দের অর্থ শূকর। শূকরের শরীর থেকে যে ভাইরাসের উৎপত্তি সেটিই সোয়াইন ফ্লু। মূলত এটি শ্বাসযন্ত্রের একটি রোগ। ভাইরাস সাধারণত শূকরকে সংক্রমিত করে। শূকর সাধারণত শরৎ ও শীতকালে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত শূকরের সংস্পর্শে থাকা লোকজনের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ এ রোগের ভাইরাসকে এইচ১এন১ বলে চিহ্নিত করেছে।
সোয়াইন ফ্লুর উৎপত্তি
এ বছরের এপ্রিল মাসে ম্যাক্সিকোতে এ ভাইরাসটি সোয়াইন ফ্লু হিসেবে শনাক্ত করা হয়। বলা হচ্ছে ম্যাক্সিকোর প্রত্যন্ত গ্রাম লা গ্লোরিয়া থেকেই সংক্রমণ শুরু হয় প্রাণঘাতি এ সোয়াইন ফ্লু’র। এ রোগে আক্রান্ত প্রথম মানব সন্তান পাঁচ বছরের এডগার হার্নান্দেজ। তবে প্রথম আক্রান্ত শিশুটি মারা যায়নি। সে সুস্থ হয়ে উঠেছে।
মহামারী আকারে সোয়াইন ফ্লু
এপ্রিলে ম্যাক্সিকোতে শুরু হয়েই বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করে এটি। ম্যক্সিকোর পর আমেরিকায় এরপর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এ রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ‘হু’র তথ্য মতে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত অন্তত ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৯ শত ২৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ হাজার ৯১৭ জনেরও বেশি। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষ ৫টি দেশ হলো-
দেশ আক্রান্ত সংখ্যা মৃত্যু
ব্রাজিল ২০,৪৬৯ ১১০০
আমেরিকা ৫১,০১২ ৭২১
আর্জেন্টিনা ৮,৮৫১ ৫৩৮
ম্যাক্সিকো ২৯,৪১৭ ২২৬
ভারত ৯,২৮৪ ২৮৫
[সূত্র : উইকিপিডিয়া, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯, রাত ১২:০০]
বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু
বাংলাদেশে প্রথম সোয়াইন ফ্লু শনাক্ত হয় ১৮ জুন, আমেরিকা ফেরত কিছু ছাত্রের মাধ্যমে। এরপর থেকে দেশে সোয়াইন ফ্লু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৮ জন (২৭.০৯.০৯) এবং বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১টি শিশুসহ ৪ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লুর পর্যায় কে লেভেল এ ঘোষণা করেছে।
সোয়াইন ফ্লুর বিভিন্ন পর্যায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোয়াইন ফ্লুর বিশ্বব্যাপী বিস্তারকে বর্ণনা করতে ৬ পর্যায় ও দেশের মধ্যে ফ্লুর বিস্তারকে বর্ণনা করতে চারটি লেভেলে ভাগ করেছে। কোন্ দেশে ফ্লুর সংক্রমণ কোন্ পর্যায়ে আছে তা বোঝানোর জন্য লেভেল ০, ১, ২, ৩ ব্যবহার হয়। লেভেল ০ হলো ঐ দেশে সোয়ইন ফ্লু আক্রান্ত রোগী নেই। দেশে যদি একজনও এ ফ্লুতে আক্রান্ত হন তাহলে লেভেল ১। যদি দুই বা ততোধিক এলাকার বাসিন্দা আক্রান্ত হন তবে লেভেল ২, আর লেভেল ৩ হলো যদি আক্রান্ত এলাকায় রোগীর সংখ্যা বেশি হয় এবং বলা যায় ফ্লু সারাদেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোয়াইন ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ
• ৪-৫ দিনের বেশি জ্বর
• শ্বাস কষ্ট
• প্রচণ্ড মাথা ও শরীর ব্যথা
• বুকে ব্যথা
• হাঁচি, কাশি, সর্দি ইত্যাদি
প্রতিরোধের উপায়
• সাবান/লিকুইড সোপ দিয়ে হাত পরিস্কার করুন। প্রতিবারই বাইরে থেকে এসে হাত পরিস্কার করুন।
• আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
• অধিক জনসঙ্গ পরিহার করুন।
• প্রচুর পানি পান করুন এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন।
• প্রচুর বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করুন।
• নিয়মিত দরজার হাতল, রিমোট কন্ট্রোল, ফোন সেট, আসবাব পত্র, কাপড় চোপড় জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করুন।
যা করবেন না
• সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে করমর্দন অথবা কোলাকুলি।
• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোন ঔষধ গ্রহণ।
আক্রান্ত হলে
• কফ বা থুথু এমন স্থানে ফেলতে হবে যেখান থেকে জীবানু ছড়াতে না পারে।
• ঘরে অবস্থান করতে হবে। যতটুকু সম্ভব লোকজনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
• যথেষ্ট পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
• দেরি না করে বিশেষজ্ঞ বিচিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রাথমিক ঔষধ
বাংলাদেশে নয়টি ঔষধ কোম্পানিকে সোয়াইন ফ্লু’র ঔষধ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো বেক্সিমকো, স্কয়ার, পপুলার, এসকেএফ, রেনেটা, এসিআই, ইউডিসিএল, টেকনোড্রাগস প্রভৃতি। এরা ওসেলটামিভির ক্যাপসুল ও পাউডার ফর সাসপেনশন বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। একটি কোম্পানি এরই মধ্যে প্রচুর ঔষধ প্রস্তুত করেছে। তবে এ ঔষধ কেবল ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে খেতে হবে।
সোয়াইন ফ্লু ভাস্কর্য
সোয়াইন ফ্লুতে ৫ বছরের প্রথম যে শিশুটি আক্রান্ত হয় তার নাম এডগার হার্নান্দেজ। ম্যাক্সিকোর এ শিশুটি প্রথম আক্রান্ত হলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। যদিও এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ বিশ্বব্যাপী এ রোগে মারা যায়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে হার্নান্দেজের ফিরে আসাকে স্মরনীয় করে রাখতে তার গ্রাম লা গ্লোরিয়ায় একটি মূর্তি গড়েছেন ভাস্কর বার্নার্ডোলুই আর্তাসানচেজ।
তার ভাষায়, এ মূর্তি হবে ম্যাক্সিকান জাতির পূনর্মিলনের প্রতীক। তিনি ভাস্কর্যটির নাম দিয়েছেন ‘নিনো সেরো বা লিটল বয় জিরো’। হানান্দাজকে মডেল বানিয়ে গড়া মূর্তিটি তারই প্রতীকী রূপ।
মুখস্থবিদ্যা পরিহার করবেন যেভাবে
Nadim
আমার ছাত্র সাইফ। ঢাকার মোটামুটি নামকরা একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে কোন পড়া দিলে হুবহু মুখস্থ করতে আগ্রহী। যত বলি বোঝার চেষ্টা কর, সে নাছোড়বান্দা। বইতে যা আছে কিংবা নোটে যা আছে তাই মুখস্থ করবে। অবশ্য তারও উত্তর আছে। স্কুলে পরীক্ষার খাতায় হুবহু বই লিখলেই কেবল ভালো নাম্বার পাওয়া যায়। স্কুলগুলোর এ একগুঁয়েমী যে মেধার বিকাশে অন্তরায় তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য আশার কথা হচ্ছে- এ মুখস্থবিদ্যা হতে পরিত্রাণ পেতে আসছে সৃজনশীল পদ্ধতি।
মুখস্থবিদ্যা কী?
মুখস্ত করা শব্দটি ইংরেজি প্রতিশব্দMemorize. মুখস্থ বলতে আমরা বুঝি কোন কিছুকে না বুঝেই বার বার পড়ার মাধ্যমে স্মৃতিতে ধরে রাখা বা স্মৃতিতে ধারণ করার চেষ্টা।
মুখস্ত বিদ্যা আজ সর্বত্রই প্রচলিত। একেবারে শিশুবেলার অ, আ, ই কিংবা ১, ২, ৩ পড়া হতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এর গণ্ডি । মুখস্থ মুখস্থ মুখস্থ -সর্বত্রই এর প্রচার ও প্রসার। শিক্ষকরাও মুখস্থবিদ্যাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।
মুখস্থবিদ্যার প্রভাব
আমরা যে মস্তিস্কের (Brain) দ্বারা পড়া মুখস্থ করি তার স্বাভাবিক প্রবণতা হলো চিন্তা করা। মুখস্থ করার মানে এই স্বাভাবিক প্রবণতার বিরুদ্ধে যাওয়া। মুখস্থ বিদ্যার ক্ষতির দিক হলো এটা আমাদের চিন্তা শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়। মুখস্থ বিদ্যার মাধ্যমে ভালো ফল করলেও এটা ক্ষতিকরই বটে। কারণ, এটা চিন্তা শক্তিকে অকেজো করে দিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাকে কঠিনতর করে দেয়। এসব শিক্ষার্থী যত ওপরের ক্লাসে উঠবে, তার কাছে পাঠ তত জটিল আর কঠিন মনে হবে। যাদের চিন্তাশক্তি সতেজ, এখানে তারাই ভালো করবে।
মুখস্তবিদ্যা পড়াশোনার আনন্দকে মাটি করে দেয়। পড়াশোনার মাঝে যে আনন্দ আছে তা শিক্ষার্থীরা লাভ করতে পারেনা। আবার কোন কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে সেটা স্মৃতিতে বেশিদিন ধরে রাখাও সম্ভব নয়। এ অবস্থায় চিন্তাশক্তি বা বুঝশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
কীভাবে পরিহার করবেন?
এ মুখস্থ বিদ্যা কিভাবে পরিহার করবেন তার কিছু টিপস নিম্নে দেয়া হলো-
• পাঠ্যপুস্তকটি প্রথমত মনযোগ দিয়ে ২ থেকে ৩ বার পড়-ন। সামগ্রিক বিষয়টি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা নিন। এবার পুরো বিষয়টি বোঝার পর, কিছু প্রশ্ন তৈরি করে ফেলুন।
• যখন পাঠ করছেন সমসাময়িক বিষয়কে কাছে রাখুন। পাঠকে তার সাথে মেলাতে চেষ্টা করুন।
• পড়ার সময় আপনার বাস্তব জীবন বা বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে পাঠ্য বিষয়ের সম্পর্ক বের করুন এবং তা নিজের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করুন।
• পড়ার বিষয় নিয়ে অন্যদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করুন।
• পড়ার যে বিষয়টি সহজে মাথায় ঢুকছে না সেটা একটু গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। না বুঝলে আপনার আয়ত্তে থাকা অভিধান বা উচ্চতর শ্রেণীর বই থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন।
• এরপরও না বুঝলে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিংবা শিক্ষক বা সিনিয়র কোন ভাই বোনের শরনাপন্ন হতে পারেন।
• তোতা পাখির মত না পড়ে, আস্তে আস্তে বুঝে বুঝে পড়–ন।
• আপনি যে বিষয়টি পড়ছেন সে বিষয়ে আগ্রহী বা বিষয়টির চর্চা করে এমন কারো সাক্ষাৎ পেলে তার সাথে আলোচনা করুন।
• পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পড়া বা লেখার সময় নিজ ভাষায় পড়তে এবং লিখতে চেষ্টা করুন। এতে স্বাভাবিকভাবেই আপনার চিন্তাশক্তি কাজ করবে।
• পড়াশোনাকে বা কোন বিষয়কে সহজে বুঝতে হলে, তার পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়–ন। বাইরের বই আপনার চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে দেবে
শেষ কথা
মুখস্থবিদ্যা পরিহার করবেন মানে এই নয় সচেতনভাবে কোন কিছু মনে রাখবেন না। আপনার বিভিন্ন টুকরো তথ্য, যেমন- সাল, তারিখ, বইয়ের নাম, ব্যাক্তির নাম ইত্যাদি মনে রাখতে হবে- কী মনে রাখছেন, কেন মনে রাখছেন, এর সাথে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক কী তা বের করুন। এছাড়াও বিজ্ঞানের কোন সূত্র কিংবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আয়ত্ত্ব করতে সেটা আগে বুঝুন পরে মুখস্থ করুন। এতে আপনার চিন্তাশক্তি যেমন ধারালো হবে তেমনি মুখস্থবিদ্যার কুফল থেকে রেহাই পাবেন ।
সোয়াইন ফ্লু : আতঙ্ক নয়
মুখোশ পরে আছে সবাই। কাউকে চেনা যাচ্ছেনা। সবাই স্তব্ধ । ক্লাস হবে ১০টা ২০ মিনিটে। এখন ১০.১৫। ক্লাসে যাওয়ার মন মানসিকতা নেই। কারণ সবাই যেন ভেঙ্গে পড়েছে। কী এক আতঙ্ক বিরাজ করছে সবার মাঝে। ছুটির জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ করছে কেউ কেউ…. সবার মনে গেল গেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের অনার্সের ছাত্রী মৌসুমী রাজ্জাক রনি’র সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংবাদে সহপাঠিদের প্রতিক্রিয়া এটি। এ আতঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই গোটা ঢাকার শহরে। যে মাস্ক আগের দিন সবাই কিনেছে ৫ টাকা দিয়ে সেটি পরের দিনই ১৫ টাকা। এক হুলস্থুল কাণ্ড। সে সোয়াইন ফ্লু নিয়েই আমাদের এ আয়োজন।
সোয়াইন ফ্লু কী
ইংরেজি সোয়াইন (SWINE) শব্দের অর্থ শূকর। শূকরের শরীর থেকে যে ভাইরাসের উৎপত্তি সেটিই সোয়াইন ফ্লু। মূলত এটি শ্বাসযন্ত্রের একটি রোগ। ভাইরাস সাধারণত শূকরকে সংক্রমিত করে। শূকর সাধারণত শরৎ ও শীতকালে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত শূকরের সংস্পর্শে থাকা লোকজনের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ এ রোগের ভাইরাসকে এইচ১এন১ বলে চিহ্নিত করেছে।
সোয়াইন ফ্লুর উৎপত্তি
এ বছরের এপ্রিল মাসে ম্যাক্সিকোতে এ ভাইরাসটি সোয়াইন ফ্লু হিসেবে শনাক্ত করা হয়। বলা হচ্ছে ম্যাক্সিকোর প্রত্যন্ত গ্রাম লা গ্লোরিয়া থেকেই সংক্রমণ শুরু হয় প্রাণঘাতি এ সোয়াইন ফ্লু’র। এ রোগে আক্রান্ত প্রথম মানব সন্তান পাঁচ বছরের এডগার হার্নান্দেজ। তবে প্রথম আক্রান্ত শিশুটি মারা যায়নি। সে সুস্থ হয়ে উঠেছে।
মহামারী আকারে সোয়াইন ফ্লু
এপ্রিলে ম্যাক্সিকোতে শুরু হয়েই বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করে এটি। ম্যক্সিকোর পর আমেরিকায় এরপর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এ রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ‘হু’র তথ্য মতে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত অন্তত ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৯ শত ২৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ হাজার ৯১৭ জনেরও বেশি। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষ ৫টি দেশ হলো-
দেশ আক্রান্ত সংখ্যা মৃত্যু
ব্রাজিল ২০,৪৬৯ ১১০০
আমেরিকা ৫১,০১২ ৭২১
আর্জেন্টিনা ৮,৮৫১ ৫৩৮
ম্যাক্সিকো ২৯,৪১৭ ২২৬
ভারত ৯,২৮৪ ২৮৫
[সূত্র : উইকিপিডিয়া, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯, রাত ১২:০০]
বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু
বাংলাদেশে প্রথম সোয়াইন ফ্লু শনাক্ত হয় ১৮ জুন, আমেরিকা ফেরত কিছু ছাত্রের মাধ্যমে। এরপর থেকে দেশে সোয়াইন ফ্লু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৮ জন (২৭.০৯.০৯) এবং বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১টি শিশুসহ ৪ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লুর পর্যায় কে লেভেল এ ঘোষণা করেছে।
সোয়াইন ফ্লুর বিভিন্ন পর্যায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোয়াইন ফ্লুর বিশ্বব্যাপী বিস্তারকে বর্ণনা করতে ৬ পর্যায় ও দেশের মধ্যে ফ্লুর বিস্তারকে বর্ণনা করতে চারটি লেভেলে ভাগ করেছে। কোন্ দেশে ফ্লুর সংক্রমণ কোন্ পর্যায়ে আছে তা বোঝানোর জন্য লেভেল ০, ১, ২, ৩ ব্যবহার হয়। লেভেল ০ হলো ঐ দেশে সোয়ইন ফ্লু আক্রান্ত রোগী নেই। দেশে যদি একজনও এ ফ্লুতে আক্রান্ত হন তাহলে লেভেল ১। যদি দুই বা ততোধিক এলাকার বাসিন্দা আক্রান্ত হন তবে লেভেল ২, আর লেভেল ৩ হলো যদি আক্রান্ত এলাকায় রোগীর সংখ্যা বেশি হয় এবং বলা যায় ফ্লু সারাদেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোয়াইন ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ
• ৪-৫ দিনের বেশি জ্বর
• শ্বাস কষ্ট
• প্রচণ্ড মাথা ও শরীর ব্যথা
• বুকে ব্যথা
• হাঁচি, কাশি, সর্দি ইত্যাদি
প্রতিরোধের উপায়
• সাবান/লিকুইড সোপ দিয়ে হাত পরিস্কার করুন। প্রতিবারই বাইরে থেকে এসে হাত পরিস্কার করুন।
• আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
• অধিক জনসঙ্গ পরিহার করুন।
• প্রচুর পানি পান করুন এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন।
• প্রচুর বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করুন।
• নিয়মিত দরজার হাতল, রিমোট কন্ট্রোল, ফোন সেট, আসবাব পত্র, কাপড় চোপড় জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করুন।
যা করবেন না
• সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে করমর্দন অথবা কোলাকুলি।
• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোন ঔষধ গ্রহণ।
আক্রান্ত হলে
• কফ বা থুথু এমন স্থানে ফেলতে হবে যেখান থেকে জীবানু ছড়াতে না পারে।
• ঘরে অবস্থান করতে হবে। যতটুকু সম্ভব লোকজনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
• যথেষ্ট পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
• দেরি না করে বিশেষজ্ঞ বিচিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রাথমিক ঔষধ
বাংলাদেশে নয়টি ঔষধ কোম্পানিকে সোয়াইন ফ্লু’র ঔষধ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো বেক্সিমকো, স্কয়ার, পপুলার, এসকেএফ, রেনেটা, এসিআই, ইউডিসিএল, টেকনোড্রাগস প্রভৃতি। এরা ওসেলটামিভির ক্যাপসুল ও পাউডার ফর সাসপেনশন বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। একটি কোম্পানি এরই মধ্যে প্রচুর ঔষধ প্রস্তুত করেছে। তবে এ ঔষধ কেবল ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে খেতে হবে।
সোয়াইন ফ্লু ভাস্কর্য
সোয়াইন ফ্লুতে ৫ বছরের প্রথম যে শিশুটি আক্রান্ত হয় তার নাম এডগার হার্নান্দেজ। ম্যাক্সিকোর এ শিশুটি প্রথম আক্রান্ত হলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। যদিও এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ বিশ্বব্যাপী এ রোগে মারা যায়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে হার্নান্দেজের ফিরে আসাকে স্মরনীয় করে রাখতে তার গ্রাম লা গ্লোরিয়ায় একটি মূর্তি গড়েছেন ভাস্কর বার্নার্ডোলুই আর্তাসানচেজ।
তার ভাষায়, এ মূর্তি হবে ম্যাক্সিকান জাতির পূনর্মিলনের প্রতীক। তিনি ভাস্কর্যটির নাম দিয়েছেন ‘নিনো সেরো বা লিটল বয় জিরো’। হানান্দাজকে মডেল বানিয়ে গড়া মূর্তিটি তারই প্রতীকী রূপ।

Tuesday, November 10, 2009